প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক
মরহুম মো: সামসুল হক
চেয়ারম্যান
এডভোকেট হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী​
নির্বাহী পরিচালক
মোছা: নাজমুন নাহার​
অতি: নির্বাহী পরিচালক
রকিব আল মাহমুদ

মানুষ পৃথিবীতে যে সকল সুযোগ সুবিধা অপরিহার্যভাবে পাওয়ার দাবী রাখে সেগুলো হচ্ছে মানুষের অধিকার। মানুষ তার জীবনে অন্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, শিক্ষা, বাসস্থান ও বাকস্বাধীনতার নিশ্চয়তা লাভের ব্যবস্থার নামই মানুষের অধিকার। আজ বিশ্বব্যাপি মানবাধিকারের চেতনা জাগ্রত এবং জনসাধারন তার মানবাধিকার রক্ষায় আরও বেশী সক্রিয় হচ্ছে । সারা বিশ্বের দেশে দেশে এখন গড়ে উঠছে মানবাধিকার সংরক্ষনকারী প্রতিষ্ঠান।আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে তেমনি একটি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান। সংগঠনটি ১৯৯৬ সালে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকে গণমানুষের অধিকার রক্ষায় গরীব, দুঃখী, অসহায়, দুঃস্থ ও অধিকার বঞ্চিত মানুষদেরকে আইনি সহায়তা প্রদান করে আসছে। আমাদের এই চলার পথে ধারাবাহিকতায় দেশের নির্যাতিত গণ মানুষের কল্যানে আমাদের দীর্ঘদিনের পথযাত্রা এগিয়ে চলছে। সংস্থাটির কার্যক্রম দেশে ও বিদেশে পরিচিত হয়েছে। দীর্ঘ পথ চলার মাঝে অনেক বাধা বিপত্তি পার হয়ে আজ এ প্রতিষ্ঠান একটি শক্ত ভিত্তিতে দাড়িয়েছে। এর পেছনে রয়েছে সংস্থার প্রায় লক্ষাধিক সংশ্লিষ্ট সেচ্ছাসেবী নিবেদিত কর্মীবৃন্দ। যাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশ ও জাতির উন্নয়নে মানবাধিকার রক্ষায় আমাদের ভূমিকা সামান্য হলেও আছে। আমাদের যে সকল নিবেদিত স্বেচ্ছাসেবী কর্মীবৃন্দ আমাদের সাথে সম্পৃক্ত থেকে নিরলসভাবে সেচ্ছায় শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন তাদেরকে সংস্থার পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ। সংস্থার সাথে জড়িত সম্মানিত উপদেষ্টা, পরিচালকবৃন্দ, সদস্যবৃন্দদের কাছ থেকে সব সময় আমরা অনেক উপদেশ ও পরামর্শ পেয়েছি। আপনাদের প্রতি সংস্থার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞ জ্ঞাপন করছি । যুগে যুগে আপনাদের উপদেশ ও পরামর্শ শ্রদ্ধার সাথে স্বরন করবো। আজ যারা তৃনমূল পর্যায়ে এই সংস্থার কার্যক্রম বেগবান করেছেন, তাদের কাছেও আমরা চির ঋনী। সংস্থার কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে যদি নিজের অজান্তে কাউকে কোন কষ্ট দিয়ে থাকি অথবা কেউ যদি দুঃখ বা কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আমাদের ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। গন মানুষের অধিকার রক্ষায় সংস্থাটি যাতে সব সময় নিরপেক্ষভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে সেই লক্ষ্য সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সহযোগীতা চেয়ে উদাও আহ্বান জানাই। পরিশেষে সবার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

এডভোকেট হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী​
চেয়ারম্যান

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন গন মানুষের অধিকার রক্ষায় শহর থেকে তৃনমূল প্রর্যন্ত প্রায় লক্ষাধিক সেচ্ছাসেবী কর্মী মানবাধিকার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ১৯৯৫ সালে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক প্রয়াত মোঃ সামসুল হক সাহেবের উদ্যেগে ও অক্লান্ত প্ররিশ্রমে ১৩ (তের) সদস্যর একটি কার্য নির্বাহী কমিটি গঠন করে আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) এর যাত্রা শুরু হয়। সংগঠনের কার্যক্রম শুরু করার ১ (এক) বছর পর ১৯৯৬ সালে সংগঠনটি সর্বপ্রথম “আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক)” নামে সমাজ সেবা অধিদপ্তর, ঢাকা থেকে আনুষ্ঠানিক অনুমতি পান। পর্যায়ক্রমে ২০০৯ সালে রেজিষ্ট্রার অব জয়েন্ট ষ্টক কোম্পানীজ এন্ড ফার্মস-এর সোসাইটি এ্যাক্ট এর অধিনে এবং জাতিসংঘের এনজিও ব্রাঞ্জ (ইউনাইটেড ন্যাশান ডিপার্টমেন্টে অফ ইকোনোমিক এন্ড সোসিয়াল এফিয়ার্স ) থেকে “ আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন” নামে সংগঠনটি অনুমতি পান। প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকে সংস্থাটি গরীব, দুঃখী, অসহায়, দুঃস্থ ও অধিকার বঞ্চিত মানুষের আইনি সহায়তা সহ সার্বিক সহায়তা প্রদান করে আসছে। আমাদের এই চলার পথে ধারাবাহিকতায় দেশের নির্যাতিত গণ মানুষের কল্যানে আমাদের দীর্ঘদিনের পথযাত্রা এগিয়ে চলছে। সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর যিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে এটার হাল ধরে রেখেছিলিনে তিনি আর কেউ নন অত্র সংস্থার কর্নধর ও প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক জনাব মোঃ সামসুল হক সাহেব । সংস্থার বয়সকাল দীর্ঘ ২৩ (তেইশ) বছর অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি অসুস্থতাজনিত কারনে ২০১৯ইং সালে মৃত্যবরন করেন। জনাব মোঃ সামসুল হক সাহেব মৃত্যবরন করার কিছুদিন পর সংস্থার কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির বোর্ড মিটিংয়ে রেজুলেশন এর মাধ্যমে আমাকে প্রথমে ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক এবং পরবর্তীতে আরেকটি বোর্ড মিটিংয়ে রেজুলেশন এর মাধ্যমে নির্বাহী পরিচালক পদে নিযুক্ত করেন। অতঃপর বোর্ড মিটিংয়ে রেজুলেশনটি সংস্থার সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে জমা দিয়ে নির্বাহী পরিচালক পদটি অনুমোদন করা হয়। ২০১৯ইং সাল হতে সম্মানিত উপদেষ্টা, পরিচালকবৃন্দ, সদস্যবৃন্দ এবং কর্মকর্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম, উপদেশ , পরামর্শ ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় শত বাধা বিপত্তি ও প্রতিকুলতার মাঝে সংগঠনটির কার্যক্রম ধরে রাখতে পেরেছি । আপনারা নিশ্চই অবগত আছেন যে, আমি একজন গৃহিনী ছিলাম। আপনাদের দেওয়া সাহস, সহযোগীতা, শিক্ষা, ও প্রেরনা থেকে আমি উৎসাহিত হয়ে আত্মবিশ্বাস নিয়ে আজ এখানে আসতে পেরেছি। মানবাধিকার বলতে যাহা কিছু শিখেছি সবই আপনাদের অবদান। আমি প্রতিনিয়ত আপনাদের কাছ থেকে শিখতে চাই। আপনারা আমাকে শিখাবেন কিভাবে সংগঠন পরিচালনা করতে হয় । সাংগঠনিকভাবে আমাকে নতুন নতুন পথ দেখাবেন এবং এই প্রানের সংগঠনটিকে এগিয়ে নিবেন এটাই আপনাদের কাছে একান্তভাবে প্রত্যাশা করি। আমাদের এই প্রতিষ্ঠানের অগনিত সদস্যবৃন্দ তাদের মানবিক নিরলস প্রচেষ্টায় এই প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রমকে সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করে যাচ্ছেন। আমাদের প্রতিষ্ঠানের অনেক কর্মকর্তা/কর্মচারী বিনা অর্থে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি জানি যে, এই দুরহ চলার পথে অফিস পরিচালনায় আমি হয়তবা সকলকে প্রত্যাশিত ফলাফল দিয়ে সুখি করতে পারি নাই। হয়তো নিজের অজান্তে অনেককে কষ্ট দিয়ে ফেলেছি। যার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দঃখ প্রকাশ করছি। কিন্তু সংগঠনটি শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে পরিচালনা করতে আমার প্রচেষ্টার কোন ঘাটতি ছিলনা। ভূল শুদ্ধ এর মাঝেই মানুষ। আমিও তার বাইরে নই। তাই আমাকে সকলে ক্ষমা দৃষ্টিতেদেখে আপনাদের এই প্রানের সংগঠনটিকে গন মানুষের অধিকার রক্ষায় কিভাবে এগিয়ে নিতে পারি সেই সহযোগীতা সকলের কাছে সব সময় প্রত্যাশা করি। সবশেষে প্রতিষ্ঠানটিকে ভালভাবে পরিচালনা ও এগিয়ে নিতে আমি সকলের নিকট দোয়া কামনা করছি এবং সবার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

মোছা: নাজমুন নাহার​
নির্বাহী পরিচালক

মানবাধিকার একটি সার্বজনীন বিষয়। এটি কোন স্থান, কাল, পাত্র বা গন্ডির মধ্যে সিমাবদ্ধ নয়। একজন মানুষ জন্ম হওয়ার পর সমাজে মানুষ হিসাবে বেঁচে থাকার জন্য কিছু অধিকার ভোগ করতে হয়। মানবাধিকার বিষয়টি মানুষের সর্বাঙ্গীন কল্যানের সাথে জড়িত। পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য প্রতিটি মানুষের শাররীক, মানসিক, সামাজিক সহ নানাবিধ বিকাশের প্রয়োজন। একজন ব্যক্তির চিন্তা চেতনার সাথে সমাজের প্রগতির ধারাটি মিশে আছে । আর মানবাধিকার চর্চা, সমাজ ও জীবনের প্রতিটি স্তরের সাথে অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত । আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশনের ১৯৯৬ সালে জন্ম। যার জন্মই হচ্ছে গরীব, দুঃখী , অসহায়, ছিন্নমূল, হতাশাগ্রস্থ, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাড়ানো এবং তাদের মুখে সেবার মাধ্যমে তৃপ্তির হাসি ফোটানো। তাই সংস্থার সৃষ্টি হতে অদ্যবদী পর্যন্ত গনমানুষের অধিকার রক্ষায় গরীব, দঃুখী, অসহায়, দুস্থ ও অধিকার বঞ্চিত মানুষদেরকে আইনগত সহায়তা সহ সার্বিক সহায়তা প্রদান করে আসছে। এই সংস্থা আমার, আপনার, সমাজের মানুষের তথা সমগ্র বিশ্বের। কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃনমুল পর্যন্ত শুরু হতে অদ্যবদী সকল সম্মানীত কর্মকর্তা, কর্মী ও সংগঠকবৃন্দ সেচ্ছাসেবী হিসাবে ত্যাগ স্বীকার করে অক্লান্ত পরিশ্রম দিয়ে মানুষের মানবাধিকার রক্ষা করার কাজে কাজ করে যাচ্ছে। সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের সম্মানীত উপদেষ্টা মন্ডলী, চেয়ারম্যান, নির্বাহী পরিচালক, পরিচালক প্রশাসন, অতিঃ পরিচালক প্রশাসন, পরিচালকবৃন্দ, সমন্বকারীবৃন্দ সহ সকল দায়িত্বশীল কর্মকর্তা যারা, আমাকে দায়িত্ব দিয়ে মানুষের মানবাধিকার রক্ষা ও সমাজসেবা মুলক কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও বিনয়ী শ্রদ্ধা। সংস্থার কার্যক্রম যাহাতে প্রতিনিয়ত এগিয়ে নিতে পারি সেই লক্ষ্যে সকলের সহযোগীতা, পরামর্শ ও ভালোবাসা একান্তভাবে কাম্য। পরিশেষে মানুষের চিরন্তন এবং সার্বজনীন অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক মানবাকিার সংস্থা, আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন সকল বিভাগের অভিযাত্রা সফল ও স্বার্থক হোক এই কামনা করছি।

রকিব আল মাহমুদ​
অতি: নির্বাহী পরিচালক