সিলেট জৈন্তাপুর নিজপাট উজানীনগর এলাকার এসএসসি পরীক্ষার্থী বিথি আক্তার (ছদ্ম নাম) নিজ বাবা সেলিম আহমদ ও সৎ মা লায়লা বেগম কর্তৃক গত মে মাসে প্রচন্ডভাবে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে মর্মে জানা গিয়েছে । বিথির বক্তব্য অনুযায়ী ঘরের আড়ার সঙ্গে হাত-পা বেঁধে ঝুলিয়ে মুখের ভিতর কাপড় ঢুকিয়ে বীথিকে নির্যাতন করা হয়েছে। মাইরের যন্ত্রণায় পানি চাইলেও তাকে পানি দেওয়া হয়নি মুখের আশপাশ থেকে যে রক্ত বেরিয়ে গালের কাছে এসেছে সেই রক্ত দিয়ে সে পানির তৃষ্ণা মিটিয়েছে। সৎমা ও বাবা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য অন্যের উপর নারী ও শিশু নির্যাতনের মিথ্যা মামলা দিতে বীথিকে তারা নির্যাতন শুরু করে। তারা চেয়েছিল বীথিকে নির্যাতন করে অন্যের উপর মিথ্যা মামলা দায়ের করবেন। কিন্তু বাবা-মার কথায় সে রাজি না হলে বীথিকে আরো বেশি নির্যাতন করে রক্তাক্ত করে ফেলে , সারা শরীর থেটলে দেয়। একপর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সে বাবা-মার কথায় রাজি হয়ে কোন ভাব মতে জীবন বাঁচায়। কিন্তু পরবর্তীতে কোনভাবেই বাবা-মার এই অন্যায়কে প্রশ্রয় দিয়ে মিথ্যা মামলা সে করেননি। যে কারণেই বীথিকে তার বাবা মে মাস থেকে ভরণপোষণ ও লেখাপড়া বন্ধ করে দিয়েছে। শুধু এখানেই শেষ নয় , লেখা পড়া যাতে সে না করতে পারে তার জন্য চেয়ার টেবিল সব সরিয়ে নিয়েছে সৎমা ও বাবা। দু থেকে তিন বছর বয়সে বিথির বাবার সঙ্গে বিথির মার ডিভোর্স হয় সে থেকেই সাগরে ভাসছে বিথী। বিথি এসএসসি পরীক্ষার্থী থাকলেও তার লেখাপড়া বন্ধের মুখে ছিল বিষয়টি জানতে পেরে আসক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সিলেট বিভাগীয় সভাপতি জনাব রকিব আল মাহমুদ বীথির লেখাপড়ার সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছেন। বিথির উপর এই অমানবিক নির্যাতনের জন্য সংস্থার পক্ষ হতে আদালতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ।