“ আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য “

১. সংস্থা দেশের অসহায় দুঃস্থ নির্যাতিত নারী পুরুষদের আইনগত সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
২. সংস্থা আইনগত সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে সালিশী সভা করে স্থানীয়ভাবে বিরোধ মিমাংসা করার জন্য কাজ করবে এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক সহযোগীতা গ্রহন করবে।
৩. দেশের সকল পর্যায়ের নাগরিকগন ফাউন্ডেশনের দারস্থ হতে পারবে।
৪. সংস্থায় যে কোন ব্যক্তি আইনগত সহযোগীতার জন্য লিখিত আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে আবেদনের সত্যতা যাচাই করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা নিয়ে আইনগত সহায়তা প্রদানে সচেষ্ট হবে।
৫. সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য মানবাধিকার বিষয়টি পর্যবেক্ষন ও সহযোগীতা প্রদানের বিষয়টি নিয়ে অত্র সংস্থা কাজ করবে এবং প্রয়োজনে গণ মানুষের স্বার্থে স্ব-উদ্যোগে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
৬. সংস্থা বিনা বিচারে আটকদের মুক্তি ও দুঃস্থ কয়েদিদের পুনর্বাসনের সহায়তা প্রদান করবে।
৭. সংস্থা দুঃস্থদের পুনর্বাসন ও তাদের জন্য “শেল্টার হোম” তৈরি করবে।
৮. সংস্থা দরিদ্র গণমানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সকল ধরনের জনকল্যাণ মূলক কার্যμম পরিচালনা করবে ও মানবাধিকার বিষয়ক কাজে বিশেষ অবদানের জন্য ক্ষেত্র বিশেষ বিভিন্ন ব্যক্তি / প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করবে।
৯. আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন দেশের সকল তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনের কার্যালয়ে প্যারলিগ্যাল প্রশিক্ষন পরিচালনা করবে।
১০. সংস্থা অবহেলিত দারিদ্র মানুষের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যμম করবে।
১১. সংস্থা অশিক্ষিত মানব গোষ্ঠীর উনড়বত পদ্ধতিতে শিক্ষামূলক কার্যক্রম গ্রহনের মাধ্যমে কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
১২. সংস্থা জনসাধারণকে / দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে / মানব সমাজকে উপযোগীতা মূলক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করবে।
১৩. সংস্থা সাধারণ মানুষের (শিক্ষিত / অর্ধশিক্ষিত) মধ্যে পাঠাগার / পাঠ কক্ষ প্রতিষ্ঠা করে পাঠ্যাভ্যাস গড়ে তোলার ব্যাপারে সচেতন করবে।
১৪. সংস্থা নাটক, টেলিফিল্ম, সভা, সেমিনার এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তৃণমূল মানাবাধিকার কর্মী সৃজন করবে।
১৫. সংস্থা সকল পেশার মানুষের সার্বিক কল্যাণে আইনগত সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে জমি, সম্পদ, বিদেশে পাঠানোর নামে প্রতারণা, নারী শিশু পাচার সহ যে কোন বিষয় মাঠ পর্যায়ে কাজ করবে।
১৬. সংস্থা অভিষ্ট জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, পারিবারিক পুষ্টি নিরাপদ মার্তৃত্ব প্রজনন স্বাস্থ্য, সচেতনতা বৃদ্ধি ও যুগোপযোগী উনড়বয়ন কর্মকান্ডে বাস্তবায়ন করবে।
১৭. সংস্থা বনায়ন ও নার্সারী প্রকল্প গ্রহণ করা, আর্সেনিক মুক্ত তথা বিশুদ্ধ পানীয়, ত্রানের ব্যবস্থা গ্রহন ও বাস্তবায়ন করা এবং পরিবেশ উনড়বয়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
১৮. সংস্থা যুবক-যুবতীদের কর্ম সংস্থানের লক্ষ্যে স্বল্প সময়ে যে কোন টেকনিক্যাল ট্রেনিং প্রদান করবে।
১৯. সংস্থা বয়স্ক শিক্ষা, কিশোর, কিশোরী ও উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষার ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
২০. সংস্থা নারীর ক্ষমতায়ন ও পারিবারিক আইন সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করবে।
২১. সংস্থা দেশব্যাপী সংগঠনের পক্ষ থেকে গণজাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিনড়ব প্রতিষ্ঠান / ব্যক্তির নিকট হইতে স্পন্সর গ্রহন করবে।
২২. সংস্থা যে কোন ব্যক্তিকে আইন সহায়তা প্রদান, বাল্যবিবাহ এবং যৌতুক প্রতিরোধকল্পে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
(উল্লেখীত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সরকার অনুমোদিত গঠনতন্ত্র মোতাবেক)

অন্যান্য তথ্যঃ

১। নির্যাতিত অসহায় মানবাধিকার বঞ্চিতরা সংস্থার বরাবরে ফর্মে / সাদা কাগজে আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন এর সংশ্লিষ্ট থানা/জেলা/বিভাগ/কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সভাপতি বরাবর আইনগত সহায়তা প্রাপ্তির লক্ষ্যে লিখিত আবেদন করবেন। আবেদন প্রাপ্তির পর সংস্থার চৌকস প্রতিনিধিগণ সরজমিনে সত্যতা যাচাই বাছাই পূর্বক আবেদনকারী প্রয়োজনে প্রতিপক্ষ এবং স্বাক্ষী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি প্রসাশনের বক্তব্য ধারণ করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ / সংশ্লিষ্ট প্রসাশনকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন। প্রয়োজনে সংস্থার নিজস্ব আইনজীবীর মাধ্যমেও আদালতে মামলা করা হয়। উল্লেখ্য যে, স্থানীয় ভাবে যে তকান বিরোধের জন্য সর্ব প্রথমে সালিশের মাধ্যমে ঘটনার মীমাংসা করার চেষ্টা করা হয়।
২। সংস্থা জমি, সম্পদ, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ যেকোন বিষয়ে আবেদন গ্রহন করে থাকে।
৩। সংস্থার প্রতিনিধিগন যে কোন ব্যক্তিগত কাজের স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে কাজ করে থাকেন।
৪। সংস্থা দাতা সদস্যদের এককালীন / মাসিক অনুদান বিভিন্ন সরকারী / বেসরকারী প্রতিষ্ঠান / ব্যক্তিগণের এককালীন / বিভিন্ন সময় প্রদেয় অনুদানের মাধ্যমে সংগঠন পরিচালিত হয়ে থাকে।
৫। প্রতি বছর চার্টার্ড একাউন্ট কর্তৃক অডিট হয়ে থাকে।
৬। সংস্থার অর্থ ব্যাংকে জমা হয়ে থাকে।